বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস জাপান আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপানি ও বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে শোক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত, আলোচনায় অংশ নেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও সাউথ-ওয়েস্ট এশিয়া বিভাগের পরিচালক শোগো ইয়োশিতাকে এবং জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। তিনিই যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণে আসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন, দ্রুততম সময়ে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন ও নির্দেশনা আমাদের পথ চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ১৭ আগস্ট, ২০১৮
টিআর/আরআর