রোববার (১৬ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
বিজয় দিবসের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা করা হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুত্থান ঘটে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেন তারা। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জনমানুষের জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রবাসী বক্তারা।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন যার বিনিময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতার আজীবনের লালিত স্বপ্ন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে সচেষ্ট হবার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
টিআর/আরআইএস/