ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত সহকারে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথি, দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শোকসভার শুরুতে জাতির জনক ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যসহ অন্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা করা হয়। প্রার্থনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্য শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্মরণসভায় রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী তার পরিবারের সদস্যসহ সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তার বক্তব্যে জাতির জনকের জীবনাদর্শ ও আমাদের স্বাধীনতা অর্জনসহ সব সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতীয় শোকদিবসে তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত 'রূপকল্প-২০২১' বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
টিআর/এএ