জাপানের প্রাচীন রাজধানী হিসেবে পরিচিত ‘নারা’ শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশিদের মিলনমেলা। রোববার তারা সেখানে জড়ো হন।
দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত এই শহরে শতাধিক বাংলাদেশি থাকলেও যে কোনো জাতীয় অনুষ্ঠান বা ঈদ পুনর্মিলনীতে তারা ওসাকায় যেতেন। তাই নিজেদের শহরে অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকেই তাগিদ ছিলো সবার। অবশেষে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় তা সফল হয়েছে।
নারা প্রিফেকচারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের এই মিলনমেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীরা। কেউ একা আবার কেউ দল বেঁধে উপস্থিত হন। প্রবাসীদের উপস্থিতিতে নারা কমিউনিটি হল রুম যেন হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানটি সফল করে তোলার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে ডক্টর আলতাফ উল আমিন বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে জানতে পারবে এবং তাদের মধ্যেও পারস্পরিক সৌহার্দ্য গড়ে উঠবে।
ডক্টর আশরাফুল আলম রানা তার বক্তব্যে বলেন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নারা প্রিফেকচারে বসবাসরত বাংলাদেশি ভাই-বোনদের উপস্থিত হওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রবাসীদের এই ধরনের মিলনমেলা শুধু মনের খোরাকই জোগায় না, দেয় অনাবিল শান্তি আর শক্ত করে বিদেশের মাটিতে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এই ধারা বজায় থাকুক এই প্রত্যাশা করি।
মোহাম্মদ কিতানু নারাতে আগত নতুন বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান। দেশের সীমানা পেরিয়ে সুদূর বিদেশের মাটিতে নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ করার জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে নারা শহরে বাংলাদেশিদের এক প্লাটফর্মে এনে এতো সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী সন্তানরা যখন দেশীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছে, তখন এই ধরনের দেশীয় অনুষ্ঠান অনেক গুরুত্ব বহন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর নাসরিন নাহার শাপলা, ডক্টর ফেরদৌসী আরজান হক, মো. হারুন আর রশিদ, মো. হানিফ উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশি বিভিন্ন খাবারের আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
নিউজ ডেস্ক