বিশ্বের অন্যান্য স্থানের কোটি কোটি মুসলমানের মতো লন্ডনের মুসলমানরাও বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করছে। লন্ডনের মসজিদগুলোতে রমজান উপলক্ষ্যে কোরআন তাফসির, ইফতার মাহফিল ও আলোচনাসভা ইত্যাদির মাধ্যমে তারা রমজানের বাণী ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ইস্ট লন্ডন মসজিদের কমিউনিকেশন্স অফিসার সালমান ফারসি আল আরাবিয়া নিউজকে বলেন, ‘রমজানের বৃহত্তর চেতনা হলো রমজানের মূল চেতনাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া ও তা শেয়ার করা, এমনকি আপনার অমুসলিম সহকর্মীর সঙ্গেও। ’
ইস্ট লন্ডন মসজিদ লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এবং অ্যাল্ডগেটের মধ্যবর্তী লন্ডন বরো অব টাওয়ার হ্যামলেটস এ অবস্থিত। যা যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভিন্ন ধর্মীয় সেবা প্রদান করে থাকে। এটা ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। এখানে একসঙ্গে ৭,০০০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ে সক্ষম। এই মসজিদে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং গড়ে সাপ্তাহিক নামাজির উপস্থিতি সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি।
মসজিদটিতে ইফতারের সময় প্রতিদিন প্রায় ৬০০ লোককে ফ্রি খাবার দেয়া হয়। কেবল ইস্ট লন্ডন মসজিদেই নয়, ইংল্যান্ডের অন্যান্য মসজিদেও একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিশেষ আগ্রহ। তারা ত্যাগের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নিচ্ছে। লন্ডনের ২০ বছরের তরুণ আলী বলেন, ‘আগে আমি খেতাম আগে। এখন আমি আগে অন্যদের সাহায্য করি। ’
ইফতার অনুষ্ঠান ছাড়াও রমজান মাসজুড়ে প্রতি সন্ধ্যায় প্রতিটি মসজিদে আয়োজন করা হচ্ছে আলোচনা সভা।
এছাড়া অনেকেই পবিত্র কোরআন অধ্যায়ন করে অনেক সময় ব্যয় করেন। অনেকেই রমজান মাসের শেষ কয়েকটি দিন ইতেকাফে বসেন।
ব্রিটেনে এবারের রমজান মাসের শুরুতেই একটা বিতর্ক শুরু হয়েছিল বেশ তিক্তভাবেই। সেখানে রোজা রাখতে হয় প্রায় ১৯ ঘণ্টা। এটা বেশি কঠিন ব্যাপার, বিশেষ করে কর্মজীবীদের জন্য। এ কারণে কেউ কেউ রমজানের সময়সূচি কমিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দেশটির বলতে গেলে কেউ সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
ফারসি বলেন, ‘১৯ ঘণ্টা রোজা খুব বেশি কঠিন নয়। যেসব সমস্যা হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নরওয়ের মতো যেসব দেশে কখনো সূর্য ডোবে না, সেখানে ইফতার ও সেহরির সময় বিশেষভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে। এখানে নয়। ’
-অন ইসলাম অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘন্টা, জুলাই ১০, ২০১৫
এমএ/