সে জন্য এই মাসে অন্য সাধারণ আমলের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রমজানের বিশেষ আমলগুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে।
রমজান মাসের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ আমল হলো- চাঁদ দেখা।
সামগ্রিকভাবে সমাজের কিছু লোকের চাঁদ দেখা ফরজে কেফায়া। আর কেউই চাঁদ অন্বেষণ না করলে, সবাই অপরাধী বলে বিবেচিত হবে। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে চাঁদ অন্বেষণ করা সকলের জন্য সুন্নত।
বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা হাতের নাগালে এবং চাঁদ দেখা কমিটি ব্যবস্থাপনা থাকায় আজকাল চাঁদ অন্বেষণের প্রতি আমরা খুব বেশি যত্ন নেই না। অথচ চাঁদ অন্বেষণের ফলে প্রথমত: আমলের প্রতি এক ধরণের উদ্দীপনা তৈরি হয়।
দ্বিতীয়ত: রাসূলের নির্দেশ তথা সুন্নত পালন হয়। তৃতীয়ত: চাঁদ দেখার সময় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দোয়া পড়তেন। চাঁদ দেখে সেই দোয়া পাঠের সুন্নতটির ওপর আমলেরও সুযোগ হয়।
দোয়াটি হলো- ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলইউমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস সালামাতি ওয়ালইসলামি রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ। ’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি এই নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি এবং ইসলামের সঙ্গে উদিত কর। হে চাঁদ! আমাদের এবং তোমার একমাত্র রব হচ্ছেন আল্লাহ। ’
চতুর্থত: গোটাজাতির পক্ষ হতে চাঁদ দেখে ফরজে কেফায়া পালন ও চাঁদ দেখা কর্তৃপক্ষের সহায়তা হয়।
সুতরাং চাঁদ দেখা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হলেও চাঁদ দেখার জন্য ব্যক্তি উদ্যোগ থাকা উচিত। এ সু্ন্নত আমলটি আজ ব্যক্তি পর্যায়ে বিলুপ্তির পথে। সুতরাং আসুন, এটাকে পুনরুজ্জীবিত করি।
লেখক: প্রিচার অ্যান্ড ট্রান্সলেটর, পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টার, সৌদি আরব
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এমএইউ/