কেউ রোজা রেখে পানাহার থেকে বিরত থাকলে তাতে আক্ষরিক অর্থে রোজা হয়ে যায় ঠিক। তবে রোজাবস্থায় অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে মুখ ও চোখ দ্বারা অন্যায় কাজে লিপ্ত হলে তাতে রোজাটি নিষ্প্রাণ দেহের মতো হয়ে যায়।
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘অনেক রোজাদার আছে, যারা রোজার বিনিময়ে উপবাস থাকা ছাড়া আর কিছুই লাভ করতে পারে না। ’ -সুনানে তিরমিজি
সহিহ বোখারির বর্ণনায় ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা ও কাজ পরিত্যগ করলো না, এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করার প্রয়োজন আল্লাহর নেই। ’
ইসলামে মানবজাতিকে সর্বাবস্থায় মিথ্যাচারিতা পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে জোরালো তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া বা দোষারোপ করা, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, ভেজাল কারসাজিসহ মানুষকে ঠকানোর যত রকম অপরাধ আছে- সবই মিথ্যার শামিল।
মিথ্যা ছাড়াও সিয়াম সাধনা সার্থক করতে হলে একজন রোজাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা, অপাত্রে দৃষ্টিপাত ও গান-বাদ্য ও নিষিদ্ধ কিছু শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সুনানে দারেমির বর্ণনায় এসেছে, ‘রোজা হলো (জাহান্নাম থেকে রক্ষার) ঢালস্বরূপ, যতক্ষণ না তা (পরনিন্দার মাধ্যমে) ভেঙ্গে ফেলা হয়। ’
রোজাদার ব্যক্তি পূর্ণ রমজান মাস যথাযথভাবে নিজকে অন্যায় কথা ও কাজ থেকে সংযত রাখার প্রশিক্ষণগ্রহণ করলে সৎ কর্মের অভ্যাস গড়ে ওঠবে এবং মন্দ কর্মের প্রবণতা কমতে সহায়ক হবে। আর তখনই সিয়াম সাধনার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ তাকওয়া অর্জন সম্ভব হবে।
লেখক: প্রিচার অ্যান্ড ট্রান্সলেটর, পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টার, সৌদি আরব
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এমএইউ/