প্রথম রোজা থেকে রোজা পালনের পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন তারা। বন্দীরা নিজেরা ইমাম নির্ধারণ করে সেই ইমামের পেছনে তারাবিও আদায় করছেন তারা।
সরকারিভাবে কারাগারের বন্দী রোজাদারদের জন্য ইফতার বাবদ বরাদ্দ মাত্র ১৫ টাকা। এই টাকায় ইফতার না হলেও কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করে ৩০ টাকার ইফতার দিচ্ছেন রোজাদার বন্দীদের।
কারাগার সূত্র জানায়, পবিত্র রমজান মাসে ৫৫০ জন বন্দী রয়েছে জেলা কারাগারে। এর মধ্যে ৪৫০ জন বন্দী নিয়মিত রোজা রাখছেন। সাহরি, ইফতার এবং রাতের খাবার দেওয়া হচ্ছে তাদের।
ইফতারে মুড়ি, ছোলা, বুন্দিয়া, পিঁয়াজু, জিলাপি, কলা, চিড়া ও গুড়সহ প্রভৃতি সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে রোজাদার বন্দীদের।
নীলফামারী জেলা কারাগারের সুপার নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিজন বন্দী রোজাদারকে ৩০ টাকার ইফতার সামগ্রী দিচ্ছি। বরাদ্দ কম হলেও সেটা সমন্বয় করে দেওয়া হচ্ছে তাদের। রোজাদার বন্দীরা কারাগোরের ভেতরে তারাবির নামাজও আদায় করছেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে নীলফামারী সরকারি শিশু পরিবারে ৫১ জন এতিম শিশু নিয়মিত রোজা পালন করছেন। ইফতারের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই শিশু পরিবারে। নিয়মিত বরাদ্দ থেকে সমন্বয় করে ইফতার দেওয়া হচ্ছে রোজাদার শিশুদের।
শিশু পরিবার সূত্র জানায়, ৯২ জন এতিম শিশু অবস্থান করছে এখানে। এর মধ্যে ৫১ জন রোজা পালন করছেন।
শিশু পরিবারের তত্বাবধায়ক ফরহাদ হোসেন জানান, রমজানে শিশুদের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। নিয়মিত বরাদ্দ সমন্বয় করে ইফতার দেওয়া হচ্ছে এতিমদের। মুড়ি, ছোলা, কলা, সুজি, জিলাপি, বুন্দিয়া, দুধ, পিঁয়াজু দেওয়া হচ্ছে ইফতারের সময়। ইফতার খাতে আলাদা বরাদ্দ রাখা হলে বাড়তি সুবিধা দেওয়া যেতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এমএইউ/