উপেক্ষার দারুণ জবাব দিয়েও শেষ পর্যন্ত পারলেন না আশরাফুল। তবে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড এখন তার।
নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাবটি ভালোভাবেই দিলেন আশরাফুল।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক প্রথমে শ্রীলংকা সফরের দলে সুযোগই পান নি। শাহরিয়ার নাফিসের ইনজুরিতে দলে সুযোগ পান। আর শেষ মুহূর্তে পাওয়া সুযোগটির সদ্ব্যবহার করতে কোনোরকম সময় নিলেন না আশরাফুল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিকানা দিয়ে নতুন উচ্চতায় তুলেছেন নিজেকে।
রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। তিনি এখনো অপরাজিত রয়েছেন ১৮৮ রানে।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১৫৯ ওভার খেলে ৫২৭ রান। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বরাবরই ভালো ব্যাট করেন আশরাফুল। কলম্বোতে অভিষেক টেস্টেই শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হয়ে নাম লেখান ইতিহাসে। তাঁর ছয়টি শতকের পাঁচটিই এসেছে লঙ্কান বোলিংয়ের বিপক্ষে। সর্বশেষ শতকটিও ছিল শ্রীলঙ্কারই বিপক্ষে। ২০০৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১০১ রানের ইনিংস হাঁকিয়েছিলেন আশরাফুল।
দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় পর রোববার গল টেস্টের তৃতীয় দিন টেস্ট শতকের দেখা পান আশরাফুল। তাঁর ষষ্ঠ শতকের সুবাদেই লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। অভিষেক ব্যাটসম্যান আনামুলকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রানের পর পঞ্চম উইকেটের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন দ্বিতীয় টেস্ট শতক হাঁকানো মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে। তাদের অপরাজিত ২৬৭ রানের জুটির সুবাদেই ইনিংস হার এড়িয়ে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২১০৩
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর