ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার আগের কার্যদিবসের তুলনায় সূচক ও লেনদেন বেড়ে কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৭০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে খাত ভিত্তিক মোট লেনদেনে জ্বালানি খাতের অবদান প্রায় ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ, টেক্সটাইল খাতের ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১ দশমিক ৮০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাত ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠান খাত প্রায় ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ, ব্যাংক ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত প্রায় ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রকৌশল ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের অবদান ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সকালে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ সূচক বৃদ্ধি পেয়ে লেনদেন শুরু হয়। এরপর সূচক বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টায় সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে সর্বোচ্চ ৭১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৩৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ৪ হাজার ৮৪৫ পয়েন্টে।
ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ৬৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক প্রায় প্রায় ১৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৯৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১১৮টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ২৮টির দাম।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে টাকার ভিত্তিতে লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, যমুনা অয়েল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, গ্রামীণ ফোন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পদ্মা অয়েল, লংকা-বাংলা ফিন্যান্স এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সিএসইএক্স সূচক ৭৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ৯ হাজার ৫২১ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ১৪০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ১২ হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১০৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে ১৫ হাজার ২০ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪