ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রশাসন থেকে মালিকানা পৃথকীকরণ (ডিমিউচুয়ালাইজড) পরবর্তী নতুন পরিচালনা পর্ষদের চার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার ডিএসই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্রোকারেজ হাউজ মালিকদের ভোটে এ চার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিতরা হলেন- সাবেক সভাপিত ও শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী, খাজা ইক্যুইটি সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা গোলাম রসুল, ডিএসইর বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জাহান সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক ও শহীদুল্লাহ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরিচালক আহাম্মেদ রশীদ লালী ও অ্যাসেঞ্জ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লাইলুন নাহার ইকরাম।
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক জেলা জজ মো. শাসসুল হক অনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ডিএসই’র মোট ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা ১৫০টি। কিন্তু সর্বশেষ অনুমোদন দেওয়া ৮টি ব্রোকারেজের মধ্যে ৪টি হাউজের মালিকানা নেই, দুইটি হাউজের আইনগত সমস্যা এবং বাকি দু’টি হাউজ যথা সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পরে।
সুতরাং চার পরিচালক নির্বাচনে মোট ১৪২ ব্রোকারেজ হাউজ মালিকদের মধ্যে ২১৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৪টি ভোট নষ্ট হয়। মোট ২১৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচনে শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী ১৮৪টি, ডিএসইর বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জাহান সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান ১৫২টি, খাজা ইক্যুইটি সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা গোলাম রসুল ১৪৭টি, পরিচালক ও শহীদুল্লাহ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন ১৪০টি, ডিএসই’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরিচালক আহাম্মেদ রশীদ লালী ১২৩টি এবং অ্যাসেঞ্জ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লাইলুন নাহার ইকরাম ১০৬টি করে ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনায় ছিলেন- নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক জেলা জজ মো. শাসসুল হক, কমিশনের সদস্য মাহবুবুর রহমান ও এম কামাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪/আপডেটেড: ১৮৩৫ ঘণ্টা