ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট এবং লেনদেন কমেছে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট এবং লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮২১ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৬৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট, ডিএসই শরীয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২০ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট।
এদিকে সপ্তাহজুড়ে সিএসই’র সব সূচক কমেছে। সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২২৪ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক কমেছে ২২২ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ২০৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৮ টাকা। গত সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ১৯০ কোটি ৮৯ লাক ৩৮ হাজার ২১৫ টাকা।
সুতরাং এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসই’র লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮২১ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৬৯৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৩৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৬৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসই-৩০ সূচক ২০ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২১ শতাংশ কমেলেও শরীয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে বা ০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৯ হাজার ২০৭ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩০ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচকে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
গত সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট দুই হাজার ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩১০ কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬০ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৩টির, কমেছে ১৮৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল ৬৫টির, কমেছে ২১৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মোট ৫ কার্যদিবসের ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেনও কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়ায় ৪১০ কোটি ৫৪ লাখ ৭১ হাজার ৮১৫ টাকা; যেখানে এর আগের সপ্তাহে গড় ছিল ৪৬২ কোটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে গড় লেনদেন কমেছে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার ৯৮১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৫৮টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বৃদ্ধির ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (১৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ), অ্যাপেক্স স্পিনিং (১৮ দশমিক৫১ শতাংশ), সমরিতা হাসপাতাল (১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ), অ্যাপেক্স ফুড (১৫ দশমিক ০৫ শতাংশ), দেশ গার্মেন্টস (১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ), হাক্কানী পাল্প (১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ), স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস (১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ), অ্যাটলাস বাংলাদেশ (১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ), আনলিমা ইয়ার্ন (১১দশমিক ৪৩ শতাংশ) এবং সাফকো স্পিনিং (১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ)।
সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- আইডিএলসি ফিন্যান্স (২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ), ইউসিবিএল (১৭ দশমিক ০৮ শতাংশ), ব্র্যাক ব্যাংক (১৬ দশমিক ২১ শতাংশ), সিঙ্গার বিডি (১৫ দশমিক ০৬ শতাংশ), পূবালী ব্যাংক (১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ইস্টার্ন ব্যাংক (১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ), ফাস্ট লিজ ফিন্যান্স (১০ দশমিক ২০ শতাংশ), নর্দান জুট (১০ দশমিক ০০ শতাংশ), আলহাজ টেক্সটাইল (৯ দশমিক ৭০ শতাংশ) এবং ইউনাইটেড লিজিং (৯ দশমিক ২৪ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৪