ঢাকা: পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বণ্টনের সময়সীমা পঞ্চম দফা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিলের ‘তদারকি কমিটি’র পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ছাড়কৃত ৩০০ কোটি টাকা বণ্টন আবেদনের সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। বিশেষ করে সরকারের পক্ষ থেকে শর্ত শিথিলের বিষয়ে ইতিবাচক নির্দেশনা আশার সম্ভাবনা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ’
গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তহবিল বণ্টনের আবেদনের সময় নির্ধারিত থাকলেও প্রথম দফায় ১৫ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ৩১ ডিসেম্বর, তৃতীয় দফায় ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি, চতুর্থ দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল।
জানা গেছে, পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার আওতায় ঋণ পেতে বিনিয়োগকারীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা, জামানতস্বরূপ সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক-ব্রোকারের প্রাতিষ্ঠানিক নিশ্চয়তা (করপোরেট গ্যারান্টি), ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতার জন্য বিএসইসি কর্তৃক জরিমানার আওতায় পড়া এমনকি নিবন্ধন বাতিলের দায় নিতে হবে। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পক্ষ থেকে আরোপ করা এসব শর্ত পরিপালনে অনীহা প্রকাশ করে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং স্টক ব্রোকাররা।
পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগকারী, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারদের অনীহার কারণ উদঘাটনের উদ্যোগ নেয় পুনঃঅর্থায়ন কমিটি। দু’দফায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও শীর্ষ ব্রোকার হাউসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিটি। বৈঠকে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে আবেদনের অনীহার কারণ উঠে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয় সভায় পুনঃঅর্থায়নের অর্থ ছাড়ের শর্ত শিথিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয় বিএসইসির পক্ষ থেকে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের জন্য ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার ৬৯৫ জন বিনিয়োগকারী আবেদন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২০টি স্টক ব্রোকারেজ এবং ২০টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। মোট ৪৬১ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে ৩১টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজকে বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছে। যার বিপরীতে ৩৪৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এ অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেছে ১৬টি প্রতিষ্ঠান। এর বিপরীতে ২৬৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪