দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ফের তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় পর বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় তিন লাখ ২৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬১ টাকা।
এর আগে ২০১১ সালের ৩ আগস্ট ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৮৫৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যদিও পরবর্তীতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার শেয়ার বাজারটিতে যোগ হয়। তবে ২০১০ সালের ধসের ধকল কাটিয়ে ওঠতে পারেনি শেয়ারবাজার। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে মোট লেনদেনের পরিমাণ ও সূচক। এক পর্যায়ে গত বছরের ২৯ এপ্রিল ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকায় নেমে আসে।
অথচ ২০১০ সালে ৫ ডিসেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৬৮ হাজার কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড মূলধন।
গত ছয় কার্যদিবস ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন উভয়ই ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এ ছয়দিনে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স বেড়েছে ১০৪ পয়েন্ট ও ২২৯ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, যেহেতু বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করছে তাই অনেকে এখন শেয়ার কিনে ২০১০ সালের ধসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাইছেন। তাই বাজারে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তাই দিন দিন বাজারের উন্নতি হচ্ছে।
তবে তারা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে বলেন, বাজারের ঊর্ধ্বগতি প্রবণতাকে কেন্দ্র করে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাই দুর্বল ও গুজবের শেয়ার না কিনে মৌলভিত্তির শেয়ার কিনতে হবে। কোম্পানির বিগত বছরগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার ধরন, আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মুনাফা, ইপিএস, পি/ই রেশিও যাচাই বাছাই করে শেয়ার কিনতে হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য আরএন ট্রেডিং লিমিটেডের অথরাইজড রিপ্রেজেনটেটিভ রানা বলেন, প্রাইমারি মার্কেটে ভালো আইপিও না আসায় ও সেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এখন সেকেন্ডারি মার্কেটে অংশগ্রহণ করছে। আর এর প্রভাব পড়ছে বাজারে।
বাংলাদেশ সময় : ১২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৪