ঢাকা: শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তি গ্যারান্টির শর্ত বাতিল করেছে অর্থমন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুনঃঅর্থায়নের ঋণ নিতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের পরিচালকদের আর ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দিতে হবে না।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত গ্যারান্টির জটিলতায় ৯০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের অর্থ ছাড় হয়েছে নগন্য পরিমাণে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজ এ ঋণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দেবে। যেহেতু ঋণের অর্থ নিজেরা ব্যবহার না করে বিনিয়োগকারীদের দেবে তাই এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা বাড়তি ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়। তাই বেশিরভাগ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের বিনিয়োগকারীরা সরকারের দেয়া সুবিধা থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন।
২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পরিপ্রক্ষিতে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ছয় মাসের ঋণের সুদ মওকুফের ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী বাকি সুদসহ আসল টাকা একটি ব্লক হিসাবে রেখে তিন বছরে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়া হবে। যেসব বিনিয়োগকারীর নিজস্ব মূলধন ছিল সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা শুধু তারাই এ সুবিধা পাবেন।
২০১২ সালে এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও আর্থিক সঙ্গতিহীনতার দোহাই দিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজগুলো ওই সুবিধা দিতে রাজী হয়নি। পরে অর্থমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ৯০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ঘোষণা করে। তিন বছরে বিতরণযোগ্য এ তহবিলের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করা হলেও ব্যক্তিগত গ্যারান্টির জালে আটকে যায় ঋণ বিতরণ।
পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ব্যক্তিগত গ্যারান্টির শর্ত তুলে দিতে বিএসইসিকে অনুরোধ জানায়। বিএসইসিও এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে। অবশেষে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় শর্তটি প্রত্যাহার করে নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৪