ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আরএন স্পিনিং কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিষেধাজ্ঞা তৃতীয় দফায় ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ফলে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরে কোনো বাধা থাকলো না।
গত ২ জুন হাইকোর্ট এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানানো হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো এবং ২০১৩ সালের ২০ জুন প্রথম বারের মতো বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে, রাইট শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি করায় ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিএসইসি।
এ ছাড়া রাইট শেয়ার-সংক্রান্ত দাখিল করা কাগজপত্র জাল হওয়ায় কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ব্যাংক হিসাবে কোম্পানির রাইট শেয়ারের ২৭৮ কোটি টাকার জাল কাগজপত্র দাখিলের অভিযোগে গত বছরের ১০ অক্টোবর আরএন স্পিনিংয়ের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ মোট ৭ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়।
রাইট শেয়ার নিয়ে আরএন স্পিনিংয়ের জালিয়াতি-সংক্রান্ত ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ কোম্পানির পরিচালক ও অবলেখক রাইট শেয়ারের অর্থ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। আর কোম্পানির তিন পরিচালক শিরিন ফারুক, কিম জুং সুক ও এমএল ডাইং নির্ধারিত সময়ের পর রাইট শেয়ারের টাকা জমা দেন।
রাইট শেয়ারের জন্য অবলেখক ছিল এএএ কনসালট্যান্ট, বানকো ফিন্যান্স, বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল সিকিউরিটিজ ও আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। সব প্রতিষ্ঠানই রাইট শেয়ারের অর্থ জমা দিতে ব্যর্থ হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিএসইসি।
পরবর্তী সময়ে বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে আরএন স্পিনিং কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪