ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়ে সপ্তাহ শেষ হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং সিএসইতে ৩৫ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে।
টাকার হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৬৭ কোটি ৭৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৮১ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩৯ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স, ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচকও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএসইএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ পয়েন্ট, ডিএসই শরীয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ পয়েন্ট।
এদিকে, সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৭৭ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৫ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই’র সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৩৯২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪২৭ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮০ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসই’র সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৮ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বেড়েছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিক ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট এক হাজার ৬০৬ কোটি ৭৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৩৯ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯৪ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৪৮টির, কমেছে ১১৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১২০টির, কমেছিল ১৪৭টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির দাম। লেনদেন হয়নি ৪টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৩২১ কোটি ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২০৭ কোটি ৮০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭৯ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ২৬ কোটি ৬৬ লাখ ২৭ হাজার ৯৪টি।
সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- শাহজিবাজার পাওয়ার (৩১ দশমিক ০৩ শতাংশ), ফার কেমিক্যাল (১৮ দশমিক ১১ শতাংশ), এক্সিম ব্যাংক (১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ), সামিট অ্যালায়েন্স (১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ), আইডিএলসি ফিন্যান্স (৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ), বিজিআইসি (৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ), স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস (৭ দশমিক ৯১ শতাংশ), গ্রামীণফোন (৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ), মারিকো (৭ দশমিক ৫২ শতাংশ) এবং পদ্মা অয়েল (৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ)।
সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- নাভানা সিএনজি (৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ), ওয়াটা কেমিক্যাল (৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ), বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম (৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ), প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ), রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (৭ দশমিক ০৬ শতাংশ), স্কয়ার ফার্মা (৭ দশমিক ০৩ শতাংশ), মাইডাস ফিন্যান্স (৬ দশমিক ৬১ শতাংশ), শাইনপুকুর সিরামিকস (৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ), ইউনিয়ন ক্যাপিটাল (৫ দশমিক ৪২ শতাংশ) এবং এইচআর টেক্সটাইল (৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৪