ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সিএসইতে ২৫ দশমিক ০৪ শতাংশ লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে।
টাকার হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে এক হাজার ১১৪ কোটি ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৯ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ৯২ হাজার ১৩৪ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স, ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯ পয়েন্ট, ডিএসই শরীয়াহ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ পয়েন্ট।
এদিকে, সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১১১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১২৩ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২০৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই’র সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৪২৩ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৮৬ দশমিক ২০ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসই’র সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৮ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৪৯২ পয়েন্টে।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১১১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট দুই হাজার ৭২০ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ৯১৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৬০৬ কোটি ৭৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ১৭৯টির, কমেছে ১১৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির দাম। লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল ১৪৮টির, কমেছিল ১১৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়ায় ৫৪৪ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৩২১ কোটি ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৫ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৬০ কোটি ৬৪ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৩৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৬১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বৃদ্ধির ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- শাহজিবাজার পাওয়ার (৩৮ দশমিক ১৬ শতাংশ), রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (৩৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ), আরগন ডেনিমস (২১ দশমিক ৭৬ শতাংশ), হা-ওয়েল টেক্সটাইল (২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ), আমরা টেকনোলজি (২১ দশমিক ৩২ শতাংশ), এসিআই (১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ), মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং (১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ), এমজেএল (১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ), হাক্কানী পাল্প (১৭ দশমিক ০১ শতাংশ) এবং লিগ্যাসি ফুটওয়্যার (১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ)।
সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- মাইডাস ফিন্যান্স (২৪ দশমিক ০৬ শতাংশ), প্রাইম ব্যাংক (১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ), জেমিনি সি ফুড (৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ), আরএন স্পিনিং (৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ), শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক (৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ), শাইনপুকুর সিরামিক (৬ দশমিক ২৫ শতাংশ), পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ), এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মি. ফান্ড (৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ), বেক্সিমকো সিনথেটিক (৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ) এবং রূপালী ব্যাংক (৫ দশমিক ১৮ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৪