ঢাকা: সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেড ও ইফাদ অটোস লিমিটেডের প্রোসপেক্টাস অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলণের অনুমোদন পায় কোম্পানি দুটি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিশনের ৫২৮তম সভায় সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেডের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি বাজারে আইপিওর মাধ্যমে সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার ছাড়বে। এ শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানিটি মোট ৪৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। শেয়ারের নির্দেশক মূল্য (ইস্যু প্রাইস) ধরা হয়েছে ১০ টাকা। কোনো প্রিমিয়াম নেবে না কোম্পানিটি।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি বিল্ডিং কন্সট্রাকশন, মেশিনারিজ ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা ও রিভ্যালুয়েশন সারপ্লাস ছাড়া শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৮ পয়সা।
সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে এএফসি ক্যাপিটেল লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেড কাজ করছে।
এদিকে, কমিশনের ৫২৭তম সভায় ইফাদ অটোস লিমিটেডের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইফাদ অটোস বাজারে আইপিওর মাধ্যমে ২ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ছাড়বে। এ শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানিটি মোট ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২০ টাকা প্রিমিয়াম যোগ করে প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য (ইস্যু প্রাইস) ধরা হয়েছে ৩০ টাকা।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে।
৩০ জুন, ২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা ও পুনঃমূল্যায়নসহ শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১২ পয়সা।
ইফাদ অটোসের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে বেনকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪