ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বাংলানিউজকে রকিবুর রহমান

আইপিও অনুমোদনে কোম্পানির সক্ষমতা দেখা উচিত

শেখ নাসির হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৪
আইপিও অনুমোদনে কোম্পানির সক্ষমতা দেখা উচিত

ঢাকা: বাজারে নতুন নতুন কোম্পানি আসছে এটা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভাল দিক। তবে নতুন নতুন কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।

তা না হলে বাজার থেকে টাকা উত্তোলনের পর বিনিয়োগকারীরাই বিপদে পড়বে।
 
সম্প্রতি বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. রকিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
 
রকিবুর রহমান বলেন, মূলত ব্যবসা সম্প্রসারণ করতেই কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পায়। তবে সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করছে। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য মোটেও ভাল দিক নয়।
 
তিনি আরও বলেন, এসব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবশ্যই দেখতে হবে কোম্পানির সক্ষমতা আছে কি-না। কোম্পানিটি ভবিষ্যতে কতটুকু সম্প্রসারণ করতে পারবে, আদৌ কোম্পানিটি আগামী ১৫/২০ বছর টিকে থাকতে পারবে কি-না, বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে কোম্পানিটি সঠিকভাবে ব্যবহার করলো কি-না, কর্পোরেট গভর্নেন্স পরিপালন হয় কি-না ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখতে হবে।
 
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে রকিবুর রহমান বলেন, এখন বাজার অনেক স্থির মনে হচ্ছে। তবে এ স্থিতিশীলতার স্থায়ীত্বের জন্য বাজারকে আপন গতিতে চলতে দিতে হবে। নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে বাজার সম্পর্কে হঠাৎ কোনো মন্তব্য করা যাবে না। তবেই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিরোধী হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। যদি পুঁজিবাজার সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় তবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিতে হবে। তা না হলে তা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ডিএসইর সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
 
ডিএসই’র প্রশাসন থেকে মালিকানা পৃথকীকরণের (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) পর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের কাছ থেকে ভাল লভ্যাংশ আশা করবো। তবে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম কয়েক মাস ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হওয়ার আগের সময় হওয়ায় তা ডিএসই’র মুনাফায় প্রভাব ফেলতে পারে।
 
এছাড়া ডিমিউচ্যুয়ালাইড হওয়ার পর ডিএসইতে লেনদেন অনেক কম হওয়ায় ও স্থায়ী আমানত থেকে আয় কমায় ডিএসই’র মুনাফা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ব্যাংকে সুদের হার কমে ১২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৮ বা ৯ শতাংশ হয়েছে। এখানে ডিএসই আয় প্রায় ৩৫/৪০ কোটি টাকা কমেছে।
 
তিনি আরও বলেন, আমি এখনও জানি না ডিএসই’র মুনাফা কত হয়েছে। তবে আশা করছি, পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় কম-বেশি লভ্যাংশ দেওয়া হতে পারে।
 
রকিবুর রহমান বলেন, ডিএসইকে আরও বেশি লাভজনক করতে বিনিয়োগের বহুমুখীকরণ করতে হবে। ব্যবসা না বাড়ালে মুনাফাও বাড়বে না। এ জন্য বর্তমান পর্ষদকে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।