ঢাকা: ইন্টারনেটের সাহায্যে বিনিয়োগকারীরা স্মার্ট ফোন, ট্যাব, আইপ্যাড, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে শেয়ার লেনদেন করতে পারেন। যা পুঁজিবাজার সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ঢাকা অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ সাজিদ হোসেন।
সৈয়দ সাজিদ হোসেন বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ানোর জন্য আমরা দুই দিনব্যাপী ‘সিএসই ইন্টারনেট ট্রেড ফেয়ার-২০১৪’ আয়োজন করেছি। আগামী বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকে এ মেলা শুরু হবে। সকাল ১০টা থেকে মেলা উন্মুক্ত থাকবে। যেখানে আমরা বিনিয়োগকারীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেনের বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেব।
তিনি আরও বলেন, মেলায় সিএসই’র আইটিএস ট্রেক হোল্ডারস, ব্রোকার হাউজ, আইটি ও মোবাইল কোম্পানিগুলো অংশ নেবে। যারা নিজেদের স্টলে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজে পণ্য ও সেবা প্রদান করবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সিএসই’র এমডি বলেন, ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীরা দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে সক্ষম হবেন। ফলে দেশব্যাপী অনলাইন ট্রেডিং বিস্তারের মাধ্যমে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীকে বাজারে আনা সম্ভব হবে। পুঁজিবাজার বিকাশ লাভ করবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক ডিপোজিট থেকে প্রাপ্য সুদের হার কমায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠছে। তাই দেশের সব শ্রেণির মানুষকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সুযোগ করে দিতেই আমাদের এ আয়োজন। কারণ সবার হাতে স্মার্ট ফোন, ট্যাব, আইপ্যাড, ল্যাপটপ থাকায় সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব।
সাজিদ হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগকারীদের ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে আমরা লেনদেনের বিষয়টি সহজ করছি মাত্র। আর এসব বিষয়ে সচেতনা বাড়ানোর জন্যই আমরা এ মেলার আয়োজন করেছি। যেখানে অনেকে ইন্টারনেট লেনদেন কীভাবে করতে হয় তা শিখবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকেই আমাদের ইন্টারনেট ট্রেড চালু হয়েছে। কিন্তু কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে তা চালানো সম্ভব হয়নি। ফলে আমাদের ইন্টারনেট ট্রেড তেমন বাড়েনি। তবে সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি প্রতিদিন ইন্টারনেটের মাধ্য ৫/৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
তিনি আরও বলেন, এ পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য ব্রোকারেজ হাউজ থেকে একটি পাসওয়ার্ড নিতে হয়। যা অধিকাংশ বিনিয়োগকারী জানেন না। আমরা মেলায় এসব বিষয়গুলো বিনিয়োগকারীদের জনাবো। তাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ইন্টারনেটের পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়াতে হবে।
সাজিদ হোসেন বলেন, এক সময় মোবাইল ব্যাংকিং চালুর আগে অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বেশি হয়। আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে লেনদেন চালু করেছি এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি তা এসময় বিকশিত হবে। হয়তো সে সময় আর ব্রোকারেজ হাউজের প্রয়োজন হবে না। হলেও সেটা অনেক ছোট পরিসরে থাকবে। মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেশ বা দেশের বাইরে থেকে লেনদেন করতে হবে।
এ মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, বি রিচ লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, সালতা ক্যাপিটাল, রয়েল ক্যাপিটাল, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, ব্রাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, বিডিবিএল সিকিউরিটিজ, ব্রিটিশ বাংলা সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ, মাল্টি সিকিউরিটিজ এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৪