ঢাকা: অবৈধ শেয়ার ব্যবসা করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আসাদ উল্লাহ।
গত বৃহস্পতিবার ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর তিনি এ পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
তবে ডিএসই’র এমডি দেশে না থাকায় এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই’র পরিচালক শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখনও বিষয়টি নিশ্চিত না। তবে আগামী সোমবার আমাদের জরুরি মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে হয়তো বিষয়টি আলোচনা হতে পারে।
গত ১২ আগস্ট সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে খন্দকার আসাদ উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নির্দেশে বলা হয়, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে খন্দকার আসাদ ও তার পরিবারের অবৈধ শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ বিএসইসির অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। আর এ কারণে বিএসইসি খন্দকার আসাদ উল্লাহর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অবিলম্বে তাকে প্রশাসনিক কাজ থেকে বরখাস্ত করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয়।
সূত্র জানায়, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫-এর অনুচ্ছেদ ৪(১)-এ উল্লেখ রয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি নিজে বা অন্য কারো মাধ্যমে সুবিধাভোগী ব্যবসা করিবেন না বা উক্তরূপ ব্যবসার ব্যাপারে কোনো ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রদান বা সহায়তা করিবেন না। ’
এ ছাড়া চাকরিবিধি অনুযায়ী ডিএসইর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শেয়ার ব্যবসা করতে পারবেন না। এমনকি তার পরিবারের কোনো সদস্য এ ব্যবসায় জড়াতে পারবেন না।
জানা যায়, খন্দকার আসাদ উল্লাহ নিজ নামে এবং তার স্ত্রী লাজুল লায়লার নামে তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংকে শেয়ার ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রীর বিও হিসাব নম্বর ৪০০৫০০০১৫০২২৫। তিনি বিভিন্ন সময় পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতনের সময় আসাদের বিরুদ্ধে কারসাজিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় বিএসইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৪