ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালুর প্রথম দিনে বিনিয়োগকারীদের ‘অতি সতর্কতায়’ দৈনিক লেনদেন কমেছে। তবে কিছু দিনের মধ্যে এ অবস্থার অবসান হবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩৭ কোটি টাকা শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। যা গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবরের পর ডিএসইতে এটাই সর্বনিম্ন লেনদেন।
বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজের অনুমোদিত প্রতিনিধিরা বলেন, নতুন এ সফটওয়্যার সংযোজনে কারণে শেয়ার মূল্য নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বেশ সতর্ক। তারা শেয়ার মূল্যের ট্রেন্ড বুঝতে সময় নিচ্ছে। ফলে অর্ডার কম আসছে। তাই ট্রেড ভলিউম কমে গেছে। তবে এভাবে এক সপ্তাহ চলতে পারলে বিনিয়োগকারীরা অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন বলে আশা করা যায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
এরপর থেকেই নতুন ব্যবস্থায় লেনদেন শুরু হয় ডিএসইতে। নতুন ব্যবস্থায় শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে বেশ দোটানায় পড়েন বিনিয়োগকারীরা। ফলে প্রথম দিনেই লেনদেন কমে যায়।
এদিন দাম বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম।
এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, নতুন ব্যবস্থায় প্রথম দিনে লেনদেন কমার প্রধান কারণ বিনিয়োগকারীদের ‘অতি সতর্কতা’। নতুন ব্যবস্থা বুঝতে স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীরা একটু সময় নিচ্ছেন। ফলে লেনদেন কমেছে।
তিনি আরও বলেন, লেনদেন কমায় হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বিনিয়োগকারীরা নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে লেনদেন বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ বলেন, নতুন ব্যবস্থায় একটু অসুবিধা হচ্ছে। নতুন এ সফটওয়্যারে নেটিং সুবিধা নেই। কাজগুলো বেশ জটিল মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৪