ঢাকা: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের অস্তিত্বহীন কোম্পানিগুলো শনাক্ত করে বাজার থেকে তাদের বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিএসই’র ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ব্যবস্থপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণের (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন বলেন, সিএসইতে বর্তমানে ৫১টি কোম্পানি ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসিতে মার্কেট তালিকাভুক্ত আছে। এদের অনেক প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে শুনেছি। তবে আমরা এখনও সরেজমিনে পরিদর্শন করতে পারিনি। হরতালের পর আমরা কোম্পানিগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, যেসব কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না, তাদের বাজার থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আর যেসব কোম্পানি মূল মার্কেটে ফিরতে আগ্রহী তাদের সব ধরনের সহায়তা করবো।
সিএসই’র এমডি বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় সিএসই। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বাজার সৃষ্টিকারী তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন বলেন, এখন আমাদের কাছে বিনিয়োগকারীদের এক হাজার ২৪টি অভিযোগ রয়েছে। এর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। তবে আমরা আগামী জুন মাসের মধ্যে এ অভিযোগ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাই। ইতিমধ্যে গত এক বছরে সিএসইতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে।
সিএসই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, আমরা কারও মৌখিক নির্দেশনা পালন করি না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার লিখিত নির্দেশনা পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিএসই’র চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, স্বতন্ত্র পারিচালক মুহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম, শাখওয়াত হোসাইন, মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, সফিউল ইসলাম, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক, মুহাম্মদ খায়রুল আনাম চৌধুরী, মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫