ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৯ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকে মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। অন্য দু’টি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট। তবে কমেছে ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক। এই সূচকটি আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৮২ পয়েন্ট কমেছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০৫ কোটি ১ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৫৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি। এ বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ১৩৪টির এবং অপরিবর্তীত আছে ৪০টি।
অপর বাজার সিএসইতে দিন শেষে সিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৪৯ পয়েন্ট। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। তবে বেড়েছে অন্য দু’টি সূচক। এরমধ্যে সিএসই-৩০ সূচকটি দশমিক ২৩ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক ১ পয়েন্ট বেড়েছে।
এ বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। লেনদেন হওয়া ১০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তীত আছে ৩০টি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ডিএসইতে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে বাড়ে ১৭ পয়েন্ট। ১০টা ৫০ মিনিটে বাড়ে ২০ পয়েন্ট।
এরপর সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে বেলা ১১টায় ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় বাড়ে ১০ পয়েন্ট। ১১টা ১০ মিনিটে বাড়ে ৫ পয়েন্ট। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বাড়ে ৯ পয়েন্ট। বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ১৭ পয়েন্ট।
এরপর নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক। দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে যায়। তবে এরপর আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যহত থাকে। দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসইতে শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- ইফাদ অটোস, স্কয়ার ফার্মা, কেডিএস এক্সেসরিস, এএফসি অ্যাগ্রো, ট্রাস্ট ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, আরএসআরএম স্টিল, সাইফ পাওয়ার, কাশেম ড্রাইসেল ও সিএনএ টেক্স।
দাম বাড়ার শীর্ষ দশ কোম্পানির তলিকায় আছে- ফুওয়াং সিরামিকস, কাশেম ড্রাইসেল, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, লিন্ডে বিডি, সিএনএ টেক্স, এস আলম কোল্ড ও বিএসআরএম।
অপরদিকে দাম কমার শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- উসমানিয়া গ্লাস, ডেল্টা স্পিনিং, আইপিডিসি, প্রথম প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সিম টেক্স, ফারইস্ট নিটিং, বেঙ্গল উইন্সডোর, পপুলার ১ মিউচ্যুয়াল ফান্ড, লিবরা ইনফিউশন ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এএসএস/জেডএস