ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

‘ব্লু-চিপ’ কোম্পানির লেনদেন বেড়েছে

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
‘ব্লু-চিপ’ কোম্পানির লেনদেন বেড়েছে

ঢাকা: এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ‘ব্লু-চিপ’ কোম্পানির লেনদেন বেড়েছে ১৫ শতাংশ। তবে বাজার মূলধনের অবদান কমেছে ৯ শতাংশ।

এপ্রিল মাসের ধারাবাহিকতায় মে মাসেও পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত ছিলো। এ দরপতনে আগের মাসের তুলনায় বাজার মূলধন কমছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, এপ্রিলে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে পুরো মাসই দরপতন ছিলো। এরপর নতুন অর্থবছরের বাজেটের প্রতীক্ষায় মে মাসে আবারো দরপতনের বৃত্তে আটকা ছিলো ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজার। এ কারণে কমেছে বাজার মূলধন।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, মে মাসে ডিএসই’র মোট লেনদেনের ৪৫.০৬ শতাংশ এসেছে ‘ব্লু-চিপ কোম্পানি থেকে। বাজারের সেরা ত্রিশ কোম্পানি থেকে এপিল মাসে অবদান ছিলো ২৯.৭৫ শতাংশ। যা টাকার অংকে ৮ হাজার ১৪২ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৮ টাকা। তালিকাভুক্ত বাকি ৩শ’ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫৫ শতাংশ।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিগুলোর পিই রেশিও ভালো। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ সবেচেয়ে বেশি নিরাপদ মনে করা হয়। কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ এ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তাই এ ত্রিশ কোম্পানিকে পুঁজিবাজারের ভাষায় বলা হয় ‘ব্লু-চিপ স্টক’।

তাই ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর নামে ডিএসই ও সিএসইতে আলাদা করে ডিএস-৩০ এবং সিএসই-৩০ ইনডেক্স করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি উভয় বাজারে এ সূচক চালু করা হয়।

এপ্রিলে বাজার মূলধনে ‘ব্লু-চিপ স্টক’র অবদান ছিলো ৫৪.৭৫ শতাংশ। কিন্তু মে মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫.০৩ শতাংশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, ডিএস-৩০ মানে ‘এক নজরে বাজার’। এ  কোম্পানিগুলোর স্রোত যেদিকে থাকবে বাজার সেদিকেই অবস্থান করে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ অসচেতন, পুঁজিবাজার ভালো বোঝেন না। তাদের সুবিধার্থে কম ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিকে দেখিয়ে দিতে সিএসইতে ২০১৩ সালে আলাদাভাবে এ সূচকটি চালু করা হয়েছে।


২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচকের পাশাপাশি ডিএসই-৩০ ইনডেক্স চালু হয়। ওই সময় ডিএসই থেকে বলা হয়, পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই পুঁজিবাজারে সেরা কোম্পানিগুলো নিয়ে আলাদা সূচক নির্ধারণ করা হয়। এ কোম্পানিগুলো নিয়ে আলাদা সূচক নির্ধারণের কারণ হচ্ছে যাতে, বিনিয়োগকারীরা সহজেই এসব কোম্পানি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিরাপদে বিনিয়োগ করতে পারেন।

এ ধরনের আলাদা সূচক নির্ধারণের ফলে বিনিয়োগকারীরা সেরা কোম্পানিগুলোর প্রাইস মুভমেন্ট সহজেই জানতে পারেন।

দেশের অন্যতম পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জেও ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি সেরা ২০টি কোম্পানি নিয়ে আলাদা সূচক তৈরি করা হয়। যা ডিএসই-২০ নামে পরিচিত ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।