ঢাকা: জুলাই মাসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের লেনদেন হয়েছে সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা। এর আগের মাস জুনে লেনদেন হয়েছিলো ৭৬৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৯১০ টাকার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেট পরবর্তী মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একটু হিসেব করেই বাজারে কেনা-বেচা করেন। ফলে এ মাসে তাদের লেনদেন আগের মাসের তুলনায় একটু কমেছে। পাশাপশি দেশে সম্প্রতি জঙ্গি হামলায় বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তারা।
ডিএসই’র সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম অর্থাৎ জুলাই মাসে ডিএসইতে বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছে ৫৫২ কোটি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫২৭ টাকা। এর আগে মাস জুনে লেনদেন হয়েছিলো ৭৬৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৯১০ টাকা।
সব মিলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট আট হাজার ৮৩ কোটি ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে ২০১৪-১৫ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিলো ছয় হাজার ৯৯১ কোটি ২৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৫ টাকা।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের মন্দা ও দেশের সম্প্রতি জঙ্গি হামলার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। ফলে লেনদেনও কমেছে।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশিরা সব সময় কম দামে শেয়ার কেনেন। তারপর দাম বাড়লে সুবিধামতো সময়ে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়েন।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, আর আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা সেই সময় গুজবে পড়ে শেয়ার কিনে পুঁজি হারান।
এদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিদেশিদের দেশের বাজারে আনতে পুঁজিবাজারে নানা সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন, সফটওয়্যারের আধুনিকায়ন, বিএসইসিকে শক্তিশালীকরণ এবং আইনগত সংস্কার।
তাছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট পাস করা হয়েছে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিএসইসি অনেককে জরিমানা করছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। এসবের ফলে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়তে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস