ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) জুলাই মাসে লেনদেনের শীর্ষে থাকা চারটি খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৯ দশমকি ০২ শতাংশ। জুন মাসে খাতগুলোতে লেনদেন হয়েছিলো ৫৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
খাতগুলো হচ্ছে, ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ব্যাংক খাত। জুন মাসেও একই ধারাবাহিতকায় লেনদেন হয়েছিলো। বর্তমানে পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ২০ খাতে লেনদেন হয়।
ডিএসইর তথ্য মতে, জুলাই মাসে ডিএসইতে ১৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৭টি শেয়ারের হাত বদল হয়েছে। যা টাকার অংকে ৬ হাজার ৫৭৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৫ টাকার লেনদেন। জুন মাসে ডিএসইতে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ২২৩ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ২৬৪টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। যা টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ৮ হাজার ১৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৯৮ টাকা।
এর মধ্যে জুলাই মাসে লেনদেনের শীর্ষে থাকা চার খাতে মোট ৮৪ কোটি ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৫টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৯ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৯১৩ টাকার। অথচ জুন মাসে শীর্ষে থাকা চার খাতের ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ০৭৪ শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ মোট ৪ হাজার ৭৯৩ কোটি ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা ৫৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
ডিএসই’র পাশাপাশি দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতগুলোর লেনদেনের পরিমাণে একই অবস্থা দেখা গেছে।
ডিএসইর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। জুলাই মাসে লেনদেন হয়েছিলো ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মে মাসে লেনদেনের শীর্ষে ছিলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩২টি।
মে ও জুন মাসের মতোই জুলাই মাসেও দ্বিতীয় স্থান দখলে রেখেছে প্রকৌশল খাত। জুলাই মাসে ডিএসইর মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। যা জুন মাসে ছিলো ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর আগের মাসে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ অবদান ছিলো।
ডিএসই’র মোট লেনদেনে তৃতীয় স্থানেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। জুলাই মাসে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং আগের মাসে ডিএসইতে এ খাতের অবদান ছিলো ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অপরদিকে জুন মাসে পঞ্চম স্থানে থাকা ব্যাংক খাত উঠেছে চতুর্থ স্থানে। আর চতুর্থ স্থানে থাকা বস্ত্র খাত এক ধাপ নিচে নেমে অবস্থান করছে পঞ্চম স্থানে।
মহাধসের আগে পুঁজিবাজারের ‘প্রাণ’ হিসেবে বিবেচিত এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানিতে জুলাই মাসে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর জুন মাসে অবদান ছিলো ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা অর্ধেকের চেয়ে বেশি বেড়েছে।
অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা খাতগুলো হলো, বন্ড, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং, পাট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্যানারি, সিরামিক, আইটি, ট্রাভেলস, টেলিকম ও বিমা খাতের শেয়ার। বাজারে এসব খাতের অবদান শতকরা দুই অংকের কোটার নিচে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৬
এমএফআই/এমজেএফ/