ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন করেছেন অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) মিলনায়তনে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০১৬ তে ‘তালিকাভুকক্ত কোম্পানির সুশাসন: বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটিসহ পুঁজিবাজারে সঙ্গে জড়িত নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর নিজস্ব আইনগুলোর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। এগুলো ঠিক করছে না প্রতিষ্ঠানগুলো।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে এতোটাই সমন্বয়হীতা রয়েছে যে, একটি প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কে বড় তা দেখাতে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক ডটকম আয়োজিত সেমিনারে বিশষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন- বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, আইডিআরএ’র সদস্য সুলতান-উল আবেদিন মোল্লা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশতাক আহমেদ সাদেক।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাহমুদুল হাসান কবীর।
কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করতে ইস্যুয়ারদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি বিধান নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আর্থিক খাতে অনিয়ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে ইস্যুয়াররা। কিন্তু তাদের শাস্তির আওতায় আনা যাচ্ছে না। যে ক’টি কোম্পানির ইস্যুয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতায় এই জীবনে বিচার হবে বলে মনে হয় না।
তাই কোম্পানির সুশাসনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, কমিশনসহ সবকয়টি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান মিলে অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় হাইকোর্টের সঙ্গে বসে দ্রুত মামলা নিষ্পতির ব্যবস্থা করা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
এমএফআই/বিএস