ডিএসই’র পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শিগগিরই চালু করে বাজারের গতিশীলতাকে তরান্বিত করতে অনুরোধ জানানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে গর্ভনর ফজলে কবির দ্রুততম সময়ে ডিএসইতে বন্ডের লেনদেন চালুর পাশাপাশি পুঁজিবাজার উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী সরকারি এবং বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট একটি স্থিতিশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস হিসেবে সুপরিচিত। একটি উন্নত বন্ড মার্কেট দেশের ক্রমবর্ধমান এবং বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের যোগানকে নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশে এখনো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএসই, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সঙ্গে নিয়ে দেশের পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের বিকল্প উৎস হিসেবে তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৫ সাল সরকারি ট্রেজারি বন্ডের তালিকাভুক্তি শুরু হয়। এখন ডিএসইতে ২২১টি তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ড রয়েছে। যার বাজার মূলধন প্রায় ৫৪৯ বিলিয়ন টাকা। পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেটের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে একটি উন্নতমানের বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের পরিধিকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএসই’র মধ্যে বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ, ট্রেজারি বিল, কর্পোরেট বন্ড, মিউনিসিপ্যাল বন্ড, স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা অপরিহার্য।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী এবং মনিরুজ্জামান এবং ডিএসই’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী, অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, মো. রকিবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, খাজা গোলাম রসূল এবং ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ