ফলে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের পুঁজি যোগ হয়েছে ৩৪৮৮ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৯ টাকা। যাকে পুঁজিবাজারে ভাষায় বলা হয়, ‘বাজার মূলধন’।
ডিএসই তথ্য মতে, ০৫ মার্চ (রোববার) সূচকের নিন্মমুখী ডিএসইতে লেনেদেন হয়। তবে তারপর সোমবার-বৃহস্পতিবার টানা কার্যদিবস সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়।
ফলে সপ্তাহে শেষ ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৭১পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০সূচক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৯ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের পাশাপাশি এই সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার ২৭৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ৫ হাজার ৩৫৮ কোটি ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮ টাকার। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১২ কোটি টাকা বেশি। শতাংশের হিসেবে ০ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৭টি, কমেছে ১৫২টি ও অপরিবর্তিত ছিলো ৩৪টি শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিলো ১১৩টি, কমেছে ১৯৬টি ও অপরিবর্তিত ছিলো ২৩টি শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিলো ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯০৯ কোটি ৮৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৯ টাকা থেকে ৩৪৮৮ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৯ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৮ কোটি ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ টাকায়।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩০৯ কোটি ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৭৩৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ৩৪০ কোটি টাকার।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর প্রধান সূচকে আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬১ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭২ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৪৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিলো।
গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩টি, কমেছে ১২০টি এবং অপরিবর্তিত ছিলো ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আগের সপ্তাহে দাম বেড়েছিলো ৮৮টি, কমেছে ১৮৬টি এবং অপরিবর্তিত ছিলো ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ