পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি বাজারে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে আসন্ন বাজেটে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিআইয়ের কাছে। ডিবিএ’র সভাপিত সাক্ষরিত এ প্রস্তাবনা গত ২১ মার্চ এফবিসিসিআই-এ পাঠানো হয়েছে।
একই প্রস্তাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
লিখিত প্রস্তবনায় বলা হয়, ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম অনুসারে কৌশলগত (বিদেশি) বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি না করা পর্যন্ত আসন্ন বাজেটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) গেইন টেক্স সুবিধাসহ আগামী ২ বছর শতভাগ কর অবকাশ দেওয়া, স্টক এক্সচেঞ্জের স্টেকহোল্ডার কর্তৃক সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর আরোপিত উৎসে কর (এআইটি) কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ০১৫ শতাংশ করা, সবার জন্য লভ্যাংশের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর সুবিধা রাখা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত সুবিধা রাখা।
এছাড়াও দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের স্তর (বিনিয়োগের সময়সীমা ১ বছর, ২ বছর এবং ৩ বছর) অনুসারে বিনিয়োগকারীদের কর মওকুফ সুবিধা এবং তালিকাভুক্ত অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে নূন্যতম ১০ শতাংশ কর সুবিধার ব্যবধান রাখা।
প্রস্তাবনার বিষয়ে ডিবিএ’র পরিচালক শরিফ আনোয়ার হোসেন (দীলিপ) বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজারকে গতিশীল রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের বাজারে আকৃষ্ট করতে আগামী বাজেটে ডিবিএ’র প্রস্তবনাগুলো বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি।
এর ফলে বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে। সরকার এই সময়ের চেয়ে আরও বেশি রাজস্ব পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ আসন্ন বাজেটে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা চেয়ে আবেদন করেছে। এর আগের বছরের বাজেটেও একই দাবি করেছিলো।
বর্তমানে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রথম বছর শতভাগ, ২য় বছর ৮০ শতাংশ, ৩য় বছর ৬০ শতাংশ, ৪র্থ বছর ৪০ শতাংশ এবং ৫ম বছর ২০ শতাংশ হারে কর অবকাশ সুবিধা দিয়েছে সরকার। সে হিসেবে আগামী তিন বছর ৬০, ৪০ এবং ২০ শতাংশ কর অবকাশ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ