মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে আয়োজিত ‘সাইবার সিকিউরিটি-এ বিজনেস ইমপারেটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ইন্টারনেট ও ওয়েবে যুক্ত হলে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে।
সাইবার ক্রাইম জ্যামিতিক হারে বাড়ছে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। যে ক্রাইমের কোন বর্ডার বা সীমা নাই। পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে এই অপরাধ করা যায়। কিন্তু কে বা কারা করছে তা জানা যায় না। আমেরিকার মতো দেশেও প্রতি ৪ জনে ১ জন এই ক্রাইমে আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি বোঝা দরকার। আজকের সেমিনারের মাধ্যমে এ বিষয়ে অনেক কিছু জানা যাবে। একইসঙ্গে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে কি ধরনের ও কি অ্যাটাক হতে পারে ইত্যাদি জানা যাবে। যা ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে চিন্তার জায়গা তৈরি করবে।
তিনি আরও জানান, ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কম্পিউটার বেজড। আর যে সিকিউরিটিজ লেনদেন হয় তা সিডিবিএলের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া বিএসইসির মনিটরিং করে সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে। কিন্তু এসব কাজ যদি সঠিক না হয় ও তথ্য কোনভাবে লিকেজ হয়, তাহলে দেখা যাবে আপনি অপকর্ম না করেও ফেঁসে যাচ্ছেন। তাই অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা দরকার।
সেমিনার আয়োজন করে ইনফরমেশন সিস্টেমস সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএসএ)। এতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার প্রেসিডেন্ট মারুফ আহমেদ।
সেমিনারে বিএসইসির কমিশনার, নির্বাহী পরিচালক, স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
এমএফআই/জেডএম