এ প্রসঙ্গে, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দৈনিক লেনদেনের হার আড়াই হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করতে কৌশলগত পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রমতে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ডিএসই বিশ্বমানের ট্রেডিং ও ম্যাচিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে।
এছাড়াও আলাদা ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি এবং ওটিসি মার্কেটের আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এসব কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ডিএসই’র আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন। যার ফলশ্রুতিতে সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদে নতুন উচ্চতায় স্থান পাবে। এর ফলে লেনেদেন হাজার কোটি টাকা থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকের সুদ হার কমায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত মাসে ক্রমাগতভাবে লেনদেন বেড়েছে। নতুন করে বাজারে বিদেশি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আসছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইক্যুইটি মার্কেটের চেয়ে বন্ড মার্কেটে লেনদেন বেশি। বন্ড মার্কেট চালুর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসই। পরিকল্প অনুসারে কাজ করলে লেনদেন দ্বিগুণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ভাল হচ্ছে। এতোদিন নেগেটিভ ইক্যুইটিতে থাকা বিনিয়োগকারীরা লেনদেনে ফিরছেন।
তিনি বলেন, বন্ড মার্কেট, স্বল্প মূলধনি কোম্পানির জন্য আলাদা লেনদেন ব্যবস্থা চালুসহ ডিএসইর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতে পারে।
চলতি বছরের প্রথম দিক থেকেই ডিএসইতে ক্রমাগতভাবে লেনদেন বাড়ছে। ফলে ২০১০ সালের পর থেকে ২শ’-৩শ’ কোটি টাকা লেনদেনের কোটা থেকে বেড়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে সূচক, বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও বাজার মূলধন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
এমএফআই/জেডএম