ফলে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির প্রকৃত মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয়ের (ইপিএস) তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য মতে, বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে টার্নওভার দেখানো হয়েছে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ৭ হাজার টাকা।
কিন্তু কোম্পানির অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ৩০ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৪৩ লাখ ৩ হাজার টাকার তথ্যের গরমিল দেখানো হয়েছে।
একই ধরনের ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে পরিচালন মুনাফার ক্ষেত্রেও। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয় ৪ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয় ৫ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে যোগফল হলো ৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কিন্তু কোম্পানিটির অর্ধবার্ষিক পরিচালন মুনাফা দেখানো হয়েছে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২১ লাখ ৩ হাজার টাকার তথ্যের গরমিল।
ডিএসই’র ওয়েবসাইটের ‘প্রফিট ফর দ্য পিরিয়ড’ ক্যাটাগরিতে প্রথম প্রান্তিকের মুনাফা দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয় ৫ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অথচ অর্ধবার্ষিকীতে দেখানো হয়েছে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২১ লাখ ৩ হাজার টাকার তথ্যে গরমিল রয়েছে।
এছাড়াও কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ম ও ২য় প্রান্তিকে যথাক্রমে দেখানো হয়েছে ০.৪৪০ পয়সা ও ০.৫৪০ পয়সা। যা অর্ধেক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ৯৮ পয়সা। কিন্তু ডিএসই’র ওয়েবসাইটে দেখানো হচ্ছে ০ দশমিক ৯৬ পয়সা।
এ গরমিল তথ্যের কারণে ডিএসই ওয়েবসাইটে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছে। গরমিল তথ্যের কারণ ও প্রকৃত তথ্য জানাতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ডিএসই’র পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠির কপি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও (বিএসইসি) দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
ডিএসই’র সূত্র মতে, ১৯৯৭ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ২৬ দশমিক ৪০ টাকা। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শেয়ার হোল্ডারকে ২০১৬ সালে ১৩ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ১২ শতাংশ নগদ অর্থ লভ্যাংশ দিয়েছে।
শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৮ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫০ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এমএফআই/এএসআর