ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরছে পুঁজিবাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরছে পুঁজিবাজার

ঢাকা: কয়েক সপ্তাহ পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরছে পুঁজিবাজার। ফলে দুইদিন পতন আর তিন কার্যদিবস সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পার হয়েছে।

আলোচিত (২৩-২৭ এপ্রিল) সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, বাজার মূলধনও।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে ৭-৮টি চক্রের ছড়ানো বিভিন্ন গুজবের কারণে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে ব্যাপক হারে শেয়ার বিক্রির অর্ডার দেন।

এর মধ্যে সপ্তাহের প্রথমদিন রোববার বাজারে গুজব ছড়ানো হয় যে, সূচক আরো ৫শ’ পয়েন্ট পড়বে (কমবে), বিনিয়োগকারীরা এ খবর শুনে শেয়ার বিক্রি করতে থাকে ফলে এদিন বড় ধরনের দরপতন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিন সোমবারও দরপতন হয়।
 
তবে মঙ্গলবার দিন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সদস্যরা দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। ডিএসই’র কাছে সুপারিশ করেন, বাজারের স্বার্থে সার্ভিলেন্স সফটওয়ারের মাধ্যমে বাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তির আওতায় আনার।
 
ডিএসই কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। একই দিন সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মার্কেট সাপোর্টের ফলে সপ্তাহের শেষ তিন দিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ শেষে বিনিয়োগকারীরা আগের সপ্তাহে হারানো পুঁজির পাশাপাশি নতুন করে আরো ১৫৩ কোটি টাকা ফিরে পায়।
 
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজারকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিলে পুঁজিবাজার ভালো হবেই। ’
 
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৮৩ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ১৩৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫১ টাকা। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৪৯ কোটি ৬২ লাখ ৮৬ হাজার ৮১৭ টাকা কম। যা শতাংশের হিসেবে ১৬ দশমিক ০১ শতাংশ কম।
 
লেনদেন কমলেও এই সপ্তাহে তিন সূচকে পথ চলা ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৪ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএস-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
 
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩০টি, কমেছে ১৭২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি।

আগের সপ্তাহের লেনেদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিলো ৭৬টি, কমেছে ২৩১টি আর অপরিবর্তিত ছিলো ২৫টি।
 
সূচক ও লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এই সপ্তাহে বাজারে নতুন করে বাজার মূলধনে যোগ হয়েছে ১৫৩ কোটি ৩৯ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ টাকার। অথচ আগের সপ্তাহে বাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারাতে হয়েছিলো ৪ হাজার ৭৮৪ কোটি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৪ টাকার।
 
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৮৯ কোটি ৯০ লাখ ৩১ হাজার ৯৮৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ২৫১ কোটি ৪৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা।
 
এই সপ্তাহের সিএসইর প্রধান সূচক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৪০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহের ২২৫ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলো।
 
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৮টি, কমেছে ১৫১টি আর অপরিবর্তিত ছিলো ১৯টি। গত সপ্তাহের লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিলো ৭৮টি, কমেছে ১৮৪টি আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এমএফআই/এসআরএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।