আলোচিত এই বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার কোটি ৯৩ লাখ ৭ হাজার টাকা লেনদেনে করেছে। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে ১৯২ কোটি ৫৪ লাখ ৫ হাজার টাকা বেশি।
বাজার সংশ্লিষ্টা বলছেন, পুঁজিবাজারেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লেনদেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল ও বাজারে পরিবেশ ঠিক থাকলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে। তাতে পুঁজিবাজরের ভীত শক্ত হয়।
তারা বলছেন, ২০১০ সালের ধসের পর আবারও পুঁজিবাজারে ঝুঁকছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বিদেশিরা সব সময় এনালাইসিস করে যৌক্তিকমূল্যের চেয়ে যেসব শেয়ারের দাম কম সেগুলোতে বিনিয়োগ করছেন।
আগামীতে পুঁজিবাজার আরও ভাল হবে, পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে ডিপোজিট রেখে যে দাম পাবেন তার চেয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেই মুনাফা বেশি পাবেন এমন প্রত্যাশায় নতুন করে বিনিয়োগ করছে বিদেশিরা। ফলে বাজার থেকে আস্থা ও তারল্য সংকট দূর হচ্ছে।
ডিএসই’র সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০০০ কোটি ৯৩ লাখ ৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে বিদেশিরা ৬১৩ কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার টাকা শেয়ার কিনেছেন, তার বিপরীতে শেয়ার বিক্রি করেছেন ৩৮৭ কোটি ০৪ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
এর আগের অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদেশিরা ৮০৮ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার কোটি টাকার শেয়ার লেনদনে করে। এর মধ্যে শেয়ার কিনেছেন ৪২৬ কোটি ৭৭ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকার, আর শেয়ার বিক্রি করেছেন ৩৮১ কোটি ৬১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের নিট অবস্থান গত অর্থবছরের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮১ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসেবে ৪০২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজার ভাল হবে, তারল্য বাড়বে এমন প্রত্যাশার পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক ডিপোজিটের সুদ হার কম থাকায় বেশি লাভের আশায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন।
ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, মার্কেট আন্ডার ভ্যালু থাকলে মনে হলেই বিদেশিরা বিনিয়োগ করেন। আমরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করি, তখন বিদেশিরা কম দামে সেই শেয়ারগুলো কেনেন। বিদেশিরা এখন শেয়ার কিনছেন এটা ‘পুঁজিবাজারের জন্য গুড সাইন’ বলেও মনে করে তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৭
এমএফআই/জেডএম