ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

জুলাইয়ে মোবাইলে ৩ লাখ লেনদেনের অর্ডার

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৭
জুলাইয়ে মোবাইলে ৩ লাখ লেনদেনের অর্ডার

ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেনের জন্য ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬টি অর্ডার পড়েছে। এদের বেশির ভাগ বিদেশি বিনিয়োগকারী।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে বসেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেন করতে পারছেন। এজন্য অতিরিক্ত কোনো খরচ নেই।

ফলে প্রায় দেড় বছর আগে চালু হওয়া মোবাইল ফোনে লেনদেনের চাহিদা দিন বাড়ছে।

ডিএসই’র তথ্য মতে, পুঁজিবাজারের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ মোবাইল অ্যাপ চালু করে ডিএসই।
 এই অ্যাপ চালুর পর ক্রমবর্ধমান হারে মোবাইলে লেনদেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে সোমবার পর্যন্ত (জুলাই ৩১) ১৬ হাজার ৩৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

এর মধ্যে জুলাই মাসে নতুন করে ১ হাজার ৩৫১ জন বিনিয়োগকারী মোবাইল ফোনে লেনদেন করতে যুক্ত হয়েছেন। ২৯ জুন বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিলো ১৫ হাজার ৪৮ জনে। সেখান থেকে সোমবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৯৯ জনে। গত মাসে মোট ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬টি অর্ডারের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৭২টি অর্ডারের।
 
ব্রোকারেজ কর্মকর্তারা বলছেন, মোবাইল অ্যাপসের কল্যাণে বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে স্মার্ট ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ঘরে বসে নিজের শেয়ার পছন্দ মতো দামে বিক্রি করতে পারছেন। এর ফলে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডারের ওপর চাপ কমে আসছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, পুঁজিবাজার বিকাশের ফলে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ডিএসইতে সংযোজন হয় মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপ চালুর পর ক্রমবর্ধমান হারে মোবাইলে লেনদেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে (জুলাই ১৬) ১৫ হাজার ২৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
 
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজারে গতি ফিরানোর পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুবিধার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ডিএসইতে মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। ফলে মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ডিএসই সূত্র জানায়, বিশ্বের অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিএসইতে মোবাইল অ্যাপ চালু হয়। যাতে পুঁজিবাজারের লেনদেনকে সর্বাধুনিক ও সহজসাধ্য করা হয়েছে। এটি ডিএসইর আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার।
 
ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোবাইলে শেয়ার কেনা-বেচা আরও বাড়বে কারণ এখনো হাতে গোনা কয়েকটি হাউজ মোবাইল লেনদেন চালু করেছে। বাকিরা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।

সূত্র জানায়, ডিএসই-মোবাইল ফোনে লেনদেন প্রক্রিয়ায় তিন ধরনের সংস্করণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকার হাউজগুলোর জন্য এবং বাকি দুটি বিনিয়োগকারীদের জন্য।

বিনিয়োগকারীদের দুটি ভার্সনের মধ্যে একটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ভিআইপি। এটি দিয়ে সরাসরি ট্রেড করা যাবে না। বিনিয়োগকারী মোবাইলে শুধু তার পোর্টফোলিও দেখতে পারবেন।
 
অন্যটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ট্রেডার। এই ভার্সন ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী নিজে ট্রেড করতে পারবেন। তবে, কোনো বিনিয়োগকারী বাজার দামের চেয়ে বেশি দামে ট্রেড অফার করলে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডার সেই আদেশ বাতিল করতে পারেন। কিন্তু বাজার দামের আদেশ দিলে তা বাতিল করার ক্ষমতা ট্রেডারের থাকে না।
 
তবে সের জন্য বিনিয়োগকারীকে নিজ নিজ ব্রোকারেজ হাউস থেকে ইউজার আইডি (ব্যবহারকারীর পরিচয়) এবং পাসওয়ার্ড (গোপন নম্বর) নিতে হবে। এরপর লেনদেন চলাকালীন স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে ঢুকে এমএ প্লাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ার বেচাকেনার অর্ডার দেওয়া যাবে। এ অর্ডার কার্যকর হলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মোবাইলে একটি বার্তা আসবে। এছাড়া যারা একাধিক বিও হিসাব পরিচালনা করেন, তাদের প্রতিটি বিও একাউন্টের জন্য পৃথক ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড নিতে হবে। এজন্য মাসিক ফি দিতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।