এ লক্ষ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ প্রস্তাবনা সরকারকে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, পুঁজিবাজার সংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।
অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, ১৯৯৬ সালের মতো দেশের পুঁজিবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেন সরে যেতে না পারেন সেজন্য তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় পুঁজিবাজারে লেনদেনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিলো এক শতাংশের মতো। বর্তমানে তাদের অংশগ্রহণ বেড়ে পাঁচ শতাংশ হয়েছে। তবে প্রতিবেশী ভারতে এর হার আরো বেশি। সুতরাং প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আনা যায়। তবে এক্ষেত্রে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। যাতে প্রণোদনা দিয়ে বিনিয়োগকারী আনার পর ১৯৯৬ সালের মতো সরে যেতে না পারে।
যে দেশের পুঁজিবাজার যত বড় সেই দেশের অর্থনীতি তত বড় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মার্কেটের আকার বেড়েছে; তবে অর্থনীতি যেভাবে বেড়েছে সেহারে পুঁজিবাজার বাড়েনি। তাই আমাদের মার্কেট বড় (এক্সপাঞ্জ) করার সুযোগ রয়েছে।
২০১০-১১ সালের ভয়াবহ ধসের প্রেক্ষাপটে বিএসইসিতে যোগদান করেন উল্লেখ করে খাইরুল হোসেন বলেন, ডিমিচ্যুয়ালাইজেশনসহ বিভিন্ন কাঠামোগত পরিবর্তনের কারণে দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের বাজারের ওপর আস্থা বেড়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের চেতনা ফিরে আসেনি। বিনিয়োগকারীদের চেতনা ফিরে না আসলে বাজার ভালো হবে না। আর চেতনা ফেরাতে বাজারে শুধু তারল্য সরবরাহ বাড়ালে হবে না, কোম্পানি সম্পর্কে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০,২০১৭
এমএফআই/জেডএস