সিডিবিএল-এর তথ্য অনুযায়ী একজন বিনিয়োগকারীর যদি একটি বিও হয় তবে বিনিয়োগকারীদের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় পৌনে ২৭ লাখ। কিন্তু বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে প্রকাশিত বইয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে ৩৩ লাখ।
২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে প্রকাশিত বইয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাণী দিয়েছেন।
বইটিতে বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ করায় বিনিয়োগকারীরা প্রকৃত তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বইয়ের ৩৩ পৃষ্ঠায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাজেদুর রহমান ‘বিনিয়োগকারীর শিক্ষা এবং সুরক্ষা’ শীর্ষক মতামতে লিখেছেন, “পুঁজিবাজারে বর্তমানে প্রায় ৩৩ লাখ সাধারণ বিনিয়োগকারী রয়েছে। যা মোট বিনিয়োগকারীর ৭০ শতাংশ। ”
বিপুল সংখ্যক এই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিনিয়োগকারীদের সঠিক পরামর্শ প্রদান, আর্থিক বাজার প্রতিষ্ঠান, পণ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষা, মনোভাব এবং চিন্তার ধরন পরিবর্তনে সাহায্য করাসহ মোট সাতটি করণীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য লিখেছেন ডিএসইর এমডি।
বইয়ে প্রকাশিত ভুলের বিষয়ে মোবাইল ফোনে ডিএসইর এমডি মাজেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের তথ্য মতে, দেশের দুই বাজারে বিও সংখ্যা ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭৭টি। এর মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫৭টি। মহিলা বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ৭ লাখ ১২ হাজার ১২৯টি।
এছাড়াও ১১ হাজার ৪৯১টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী রয়েছে। এমনকি গত পাঁচ বছর ধরেও ৩৩ লাখ বিনিয়োকারী ছিলো না পুঁজিবাজারে। বরং ২০১০ সালের ধসের সময় বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ছিলো প্রায় ৩৩ লাখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ