ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কে অ্যান্ড কিউ’র প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ২ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
এছাড়াও কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির মুনাফা দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি বছরের তিন প্রান্তিকের মোট নয় মাসে কোম্পানির মুনাফা দেখানো হয়েছে ০ টাকা।
একই ধরনের ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে ‘কম্প্রিহেন্সিভ ইনকাম ফর দ্য পিরিয়ড’ ক্যাটাগরিতে। এখানে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রান্তিকে নেগেটিভ মুনাফা দেখানো হয় ১৭ লাখ ৩ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয় ০ টাকা।
সে হিসেবে দুই প্রান্তিকের যোগফল ১৭ লাখ ৩ হাজার টাকা। কিন্তু কোম্পানিটির অর্ধবার্ষিক নেগেটিভ মুনাফা দেখানো হয়েছে ৬৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। এরপর তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৬ হাজার টাকা। কিন্তু নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফা দেখানো হয়েছে ০ টাকা।
এছাড়াও কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ম ও ২য় প্রান্তিকে যথাক্রমে দেখানো হয়েছে -০.৩৫০ পয়সা ও -১.২৯০ পয়সা। যা অর্ধেক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে ডিএসই’র ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে ০ দশমিক ৩০০ পয়সা।
এ গরমিল লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে ডিএসই’র ওয়েবসাইটে। প্রকৃত তথ্য জানাতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ডিএসই’র পক্ষ থেকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠির অনুলিপি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও (বিএসইসি) দেওয়া হয়েছে।
ডিএসই’র সূত্রমতে, ১৯৯৬ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ১২৬ দশমিক ৮০ টাকা। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ২৫ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৭২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এমএফআই/এএসআর