তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে পুঁজিবাজারে অবদান বাড়ছে না। এখনো আমাদের অর্থনীতি ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভর।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
পুঁজিবাজারের বড় শক্তি বিনিয়োগকারীদের আস্থা উল্লেখ করে সিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে আর কেলেঙ্কারি হয়নি। বাজার মোটামুটি ভালো আছে। বাজারের প্রয়োজনে এখন গভীরতা ও লেনদেন বাড়াতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করানোর জন্য সরকার উদ্যোগ নিলেও ওইসব কোম্পানির কর্মকর্তাদের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তারা অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, সিএসইর লেনদেন বৃদ্ধির জন্য ব্রোকারেজ হাউজের সদস্যদের সক্রিয়া করা হচ্ছে। স্ক্রিপ্ট নেটিং চালুর চেষ্টা করছি। এতে বাজারে স্বচ্ছতা বাড়বে। মিউচ্যুয়াল্ড ফান্ডগুলো পুঁজিবাজারে সঠিকভাবে ভূমিকা রাখার জন্য ইটিএফ চালু করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
এমডি বলেন, বর্তমান বাজারের সমস্যা হচ্ছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা। দেশের পুঁজিবাজারের স্বার্থে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আগে সব রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
এছাড়াও বাজারে কোয়ালিটিসম্পন্ন কোম্পানি আনা জরুরি বলেও জানান তিনি।
এসময় সিএসইর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গোলাম ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস