তারা বলছেন, নতুন বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগই বিদেশি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। এর মধ্যে বিদেশিরা হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন।
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ জুন বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিলো ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৬০টি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে নবায়ন ফি পরিশোধ না করায় এ সময় অন্তত ২ লাখ ৭০ হাজার ৫২০টি বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় সিডিবিএল।
ফলে জুলাই মাসে বিও সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৪০টিতে। সেখান থেকে আগস্ট মাসে তা আরো কমে দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৭০৫টিতে। তবে পরের মাস সেপ্টেম্বরে বিও হিসাব বেড়ে ২৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৬০টিতে দাঁড়ায়। এরপর অক্টোবর, নভেম্বর মাসেও তা বেড়ে ক্রমান্বয়ে ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৮টি ও নভেম্বর ২৭ লাখ ১১ হাজার ৭০০টিতে দাঁড়িয়েছে।
আর মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আরো ৪১৮টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ১১ হাজার ৭৪৪টিতে।
নিয়ম অনুসারে একজন বিনিয়োগকারী একটি বিও হিসাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। সে হিসেবে নতুন অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস ৫ দিনে পুঁজিবাজারে বিও বেড়েছে ৫৭ হাজার ৪১৮টি।
সিডিবিএলএ’র কর্মকর্তা শুভ্রকান্তি চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নতুন করে বেশ কিছু বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তবে কিছু সাসপেন্ড (স্থগিত) বিও নবায়ন ফি দিয়ে সচল করা হয়েছে।
প্রতি বছরই জুনে অনেক বিও বন্ধ হয়ে যায়, এরপর নতুন করে বাড়তে থাকে- যোগ করেন তিনি।
সূত্রমতে, পুঁজিবাজারে তিন শ্রেণীর মোট ২৭ লাখ ১১ হাজার ৭৪৪টি বিও রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৪৪৯টি, নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৯৭টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৬৯৮টি।
অন্যদিকে একক বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৪০টি, যৌথ বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬টি এবং কোম্পানির বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১১ হাজার ৬৯৮টি।
এছাড়াও আবাসিক বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬২টি, অনাবাসিক বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৪টি এবং কোম্পানির বিও অ্যাকাউন্টের ১১ হাজার ৬৯৮টি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এমএফআই/এএসআর