মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি ২০) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এতে মোট ৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর কাট অফ প্রাইস নির্ধারণে অংশ নেওয়ার আগে প্রত্যেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে কমপক্ষে ২ সদস্য বিশিষ্ট ‘বিডিং রিকমেন্ডেশন কমিটি’ গঠন করতে হবে। এ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো নিলাম করতে পারবে।
আর এই কমিটি বুক বিল্ডিংয়ে আসা কোম্পানির রেড হেয়ারিং প্রসপেক্টাস বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে। কোম্পানির আর্থিক বিররণী, পণ্য, ব্যবসা, ম্যানেজমেন্ট এবং ভবিষ্যতসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রস্তুত করবে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি নিলামে অংশ নেবে। কমিটির সিদ্ধান্তগুলো সংরক্ষণ করতে হবে ওই সুপারিশ কমিটির।
নিলামে অংশ নেওয়ার প্রথম ২ দিনের মধ্যেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নিলাম প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান যে দিন থেকে নিলামে অংশ নেবে, তার ২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিলামের প্রতিবেদন ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে জমা দেবে। এই নিলামে দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম করা হয় তবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি কোম্পানির বিডিংয়ে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ নিয়ে যে অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে বিএসইসি বিডিং প্রক্রিয়া সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি অতিমূল্যে বিডিংয়ের কারণও জানতে চায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো উত্তর দেয়নি। এরপর সব বিনিয়োগকারীকে সতর্ক করে কমিশন।
পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫ চালু হওয়ার পর পুঁজিবাজারে প্রিমিয়াম নিয়ে যেসব কোম্পানি বাজারে এসেছে তাদের বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের মাধ্যমে আসতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ