বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারি মাসে বেশিরভাগ দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। দরপতনের ফলে দেশি বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করেছেন বেশি।
ডিএসইতে জানুয়ারি মাসে লেনদেন হয়েছিলো ১০ হাজার ৭২ কোটি ১৬ হাজার টাকা। আর ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন কম হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৮৮০ কোটি ৭০ লাখ ৮১ হাজার ৫৫৭ টাকা। অথচ জানুয়ারি মাসে ডিএসইতে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ১৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ২৫৬ টাকার। যা আগের মাসের চেয়ে ২৬৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ৬৯৯ টাকা কম। এর আগের মাস ডিসেম্বরে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৪ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার ৮৫৮ টাকার।
ফেব্রুয়ারি মাসে ৮৮০ কোটি ৭০ লাখ ৮১ হাজার ৫৫৭ টাকার মধ্যে ৩৯২ কোটি ৯৯ লাখ ২ হাজার ৩৭২ টাকার শেয়ার কিনেছেন বিদেশিরা। তার বিপরীতে ৪৮৭ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৫ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে বিদেশিদের নিট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৯৪ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ৮১২ টাকা।
অথচ জানুয়ারি মাসের একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৬৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭২১ টাকার শেয়ার কিনেছেন। আগের মাসের তুলনায় শেয়ার অর্ধেক কম কিনেছেন বিদেশিরা। তার আগের মাস ডিসেম্বরে বিদেশিরা ৫৯৩ কোটি ৫১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৪ টাকার শেয়ার কিনেছিলেন।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যাংক ঋণ-আমানতের অনুপাত এডি নিয়ে গুজবের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের বেশিরভাগ দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এতে আস্থা ও তারল্য সংকটে পড়ে পুঁজিবাজার। আর আস্থার সংকটের কারণে দেশি বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি বিদেশিরাও শেয়ার বিক্রি করেছে বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ