ডিএসই’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে দরপতন অব্যাহত থাকায় বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি কমেছে।
যদিও ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে সাড়ে ৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বেশি ছিলো।
ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আস্থা ও তারল্য সংকটের বাজারে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন কমেছে। ফলে জানুয়ারিতে দৈনিক লেনদেন হওয়া ৫৬০ কোটি টাকা থেকে ফেব্রুয়ারিতে নেমে এসেছে ৪০৪ কোটি টাকায়। পাশাপাশি ডিএসইর প্রধান সূচকও ২৩৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে ১৯ কার্যদিবসে ৭ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। উদ্যোক্তা-পরিচালক ও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি বাবদ এই টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় দাঁড়ায় ১২ কোটি টাকা।
জানুয়ারিতে ডিএসইতে ২৩ কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০ হাজার ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকার। দৈনিক গড়ে লেনদেন হয় ৪৩৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সেখান থেকে সরকারের মোট ১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩০ টাকা রাজস্ব আয় হয়। যা ছিল ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ১৯২ টাকা বেশি।
ফেব্রুয়ারিতে দুই প্রকার রাজস্ব আয়ের মধ্যে ডিএসইর আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫৩ বিবিবি ধারা অনুযায়ী ব্রোকারেজ কোম্পানি থেকে উৎসেকর হিসেবে ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার আয় হয়। একই খাত থেকে জানুয়ারি মাসে ১০ কোটি ৭ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ টাকা আয় হয় সরকারের।
অপরদিকে, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫৩ এম ধারা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে স্পন্সর ও প্লেসমেন্ট সিকিউরিটিজ বিক্রি বাবদ আয় হয় ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অথচ জানুয়ারি মাসে এই অংক ছিলো ৮ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৩ টাকা।
গত বছর ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিলো ৩৪৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এমএফআই/এইচএ/