ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

চীনা কনসোর্টিয়ামের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস বিএসইসির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
চীনা কনসোর্টিয়ামের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস বিএসইসির বিএসইসি’র বৈঠকে অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: পুঁজিবাজারের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ ও চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রোববার (২৫ মার্চ) কমিশনের বোর্ড রুমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের এই আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন। এসময় কমিশনার স্বপন কুমার বালাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসির সঙ্গে ডিএসইর নতুন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে কমিশন এই আশ্বাস দেয়। এসময় ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও সদস্য বিদায়ী পরিচালক শাকিল রিজভী, বর্তমান দুই পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান এবং হানিফ ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।  

গত ২০ মার্চ মিনহাজ মান্নান ইমন ডিএসইর পরিচালক নির্বাচিত হন।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে ডিএসইর নতুন পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, কমিশনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ এবং বাজারের তারল্য ও আস্থা সংকট দূর করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে কমিশন কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে। একইসঙ্গে ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের সমস্যা সমাধানে সম্মতি দিয়েছে কমিশন।

তিনি বলেন, আশা করছি কমিশন দ্রুত কাজ করলে পুঁজিবাজারের সব সমস্যার সমাধান হবে।

পুঁজিবাজারে চলমান সংকট উত্তরণে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষ থেকে সম্প্রতি একগুচ্ছ প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব বিশেষ বিবেচনায় নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক যত দ্রুত বাস্তবায়ন করবে তত দ্রুত পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- সলো ভিত্তিতে পুঁজিবাজারে এক্সপোজার গণনা করা, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন বন্ড ডিবেঞ্চার প্রেফারেন্সিয়াল শেয়ার ও তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডকে ব্যাংকের এক্সপোজের হিসাবের বাইরে রাখা, কৌশলগত বিনিয়োগ যা পুরো মেয়াদকাল পর্যন্ত ধরে রাখা এবং যেসব সিকিউরিটিজের লেনদেন হয় না সেসব সিকিউরিটিজকে এক্সপোজার গণনা থেকে বাদ দেওয়া। এছাড়া রয়েছে আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০১৮
এমএফআই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।