তারল্য ও আস্থা সংকটে বছরের শুরু থেকেই টানা দরপতনের ধারায় ছিলো দেশের পুঁজিবাজার। এতে লেনদেন কমে ৩শ’ কোটির ঘরে চলে আসে।
তবে সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর নগদ জমার সংরক্ষণ (সিআরআর) সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানত ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে রাখার ঘোষণাসহ সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। ঊর্ধ্বমুখীতে রয়েছে সব ধরনের সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় বেড়েছে লেনদেনও।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (০৮ এপ্রিল) দিনভর সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে উভয় বাজারে বেড়েছে বাজার মূলধনও। সবমিলে ডিএসইতে টানা তিন কার্যদিবস সূচক বাড়লো। অন্যদিকে সিএসইতে সূচক বাড়লো টানা দু্ই কার্যদিবস।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ডিএসইতে ১৯ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৬টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬২২ কোটি ৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ৫৭২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার।
ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৪টির, কমেছে ১৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।
অপর বাজার সিএসই’র সার্বিক সূচক ৪০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টির,কমেছে ৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস