গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার মতো রোববার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিনের লেনদেন শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। যা অব্যাহত ছিলো বেলা ১১টা পর্যন্ত।
দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩৯ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট। এর ফলে উভয় বাজারে টানা চার কার্যদিবস দরপতন হলো।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন ব্যাংক, বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে দরপতন অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ডিএসইতে ১০ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৭৭৪টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৪১২ কোটি ২৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ৫৫৩ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৯ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ১০ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ্ সূচক ২ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৬৫ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭৭২ পয়েন্ট। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ১৫০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস