এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই বাংলানিউজিকে জানান, গত ৩০ এপ্রিল (সোমবার) থেকে ৯ মে (বুধবার) পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
তিনি বলেন, ৭৫ কোটি টাকার শেয়ারের পেতে বিনিয়োগকারীরা মোট ৬৮৪ কোটি টাকার আবেদন করেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় ৯ দশমিক ১২ গুণ বেশি।
সূত্র জানা যায়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বসুন্ধরা পেপার ২ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭টি শেয়ারের বিনিময়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত কাট অব প্রাইস ৮০ টাকা, এ দামে এলিজিবল বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে ১২৫ কোটি টাকা।
আর বাকি ৭২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করতে গত ৩০ এপ্রিল আবেদন গ্রহণ শুরু করে। যা চলতি মাসের ০৯ মে শেষ হয়েছে। ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ারের বিনিময়ে এই টাকা উত্তোলন করলো কোম্পানিটি।
উত্তোলিত এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটির কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি কেনা, স্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৩৫ কোটি, ঋণ পরিশোধ বাবদ ৬০ কোটি এবং বাকি ৫ কোটি টাকা আইপিও বাবদ খরচ করবে।
২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ দশমিক ৪৬ টাকা। সম্পদ মূল্যায়নসহ শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৩০ দশমিক ৪৯ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ